রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পলাশে এনজিওর কিস্তির দুশ্চিন্তায় সাধারণ মানুষ 

মাসুদ খান (পলাশ) নরসিংদীঃ যতোই দিন যাচ্ছে ততোই বাড়ছে করোনার ভয়াবহতা এবং মানুষের স্বাভাবিক জীবন চলাচল। করোনা পরিস্থিতি আরও উন্নতি না হওয়ায় এবং মানুষের আয় রোজগার না হওয়ায়। এনজিওর কিস্তি পরিশোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় সাধারণ দিনমজুর, কৃষক এবং ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীদের। সরকারি বিধিনিষেধ আগামী ৩০শে জুন থাকলেও বিভিন্ন গ্রামে এবং একাধিক মহল্লায় কিস্তি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কোথাও কোথাও বকেয়া কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্যও ফিল্ড অফিসারের চাপ প্রয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পলাশ উপজেলার গড়পাড়া গ্রামের মোঃ রিপন মিয়া সাথে কথা বলে জানা গেছে, কিস্তির টাকা পরিশোধের চিন্তায় রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে আমার। আমিতো শুনেছি জুন মাস পর্যন্ত কিস্তি আদায় বন্ধ থাকবে, এখনতো দেখি প্রতি সাপ্তাহে কিস্তি আদায়ের জন্য বাসায় চলে আসেন এনজিওর স্যারেরা। নিয়মিত কিস্তি আদায়ের কথা বলেন এবং বিভিন্ন ধরনের চাপ দেন, খারাপ আচরণ করেন। পলাশ উপজেলার স্থানীয় এনজিও অফিস গুলো আরডিআরএস, পপি, আশা, এসএসএস, ঊষা, ইসলামী ব্যাংক, তাদের অফিসারদের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে কিস্তি আদায় করতে দেখা গেছে। নাছরিন আক্তার নামে একজন মহিলা জানান, সকাল হলেই কিস্তির স্যাররা এসে বাসায় বসে থাকেন। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত বাসায় অবস্থান করেন, টাকা দিতে না পারলে খারাপ ব্যাবহার, এমনকি মামলারও ভয় দেখানো হয়। এছাড়াও কয়েকজন সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, খাবার যোগাড় করতেই এখন কষ্ট হচ্ছে, আমরা এখন কিস্তির টাকা দিবো কোথায় থেকে। সাধারণ মানুষের দাবী আয় রোজগার স্বভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কিস্তি আদায় স্থগিত রাখা হোক।

এই বিভাগের আরো খবর